Tuesday, August 7, 2018

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার ২২ ছাত্র দুই দিনের রিমান্ডে

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার আসামিরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাকের ছাত্র। এর মধ্যে বাড্ডা থানা-পুলিশ ১৪ জন ছাত্রকে এবং ভাটারা থানা-পুলিশ ৮ জন ছাত্রকে আদালতে হাজির করে প্রত্যকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

বেলা ৩টার দিকে আদালতের এজলাসে তোলা হলে স্বজনদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্ররা। তাঁদের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় ফেলে নির্যাতন করেছে। ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে কয়েজনকে গ্রেপ্তার করেছে।Eprothomalo

তবে বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া রিমান্ড আবেদনে বলেন, গতকাল (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাব নগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেয়। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আসামিরা। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, আসামিরা বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাঁরা বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরাতে গেলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদ রিমান্ড আবেদনে বলেন, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। আসামিরা বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসার দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। পলাতক আসামিরা জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক আদালতকে বলেন, পুলিশ নিরপরাধ ছাত্রছাত্রীদের ধরে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিদওয়ান আহমেদের আইনজীবী কবির হোসেন আদালতকে বলেন, ‘পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় ফেলে মেরে তাঁর হাতের একটি আঙুল ভেঙে দিয়েছে। তৃতীয় পক্ষের যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করে নিরীহ ছাত্রদের ধরে এনেছে।’

এ ছাড়া আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার করা ছাত্রদের পরীক্ষা চলছে। ৯ আগস্ট তাঁদের পরীক্ষা আছে। জামিন না পেলে তাঁদের শিক্ষা জীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গ্রেপ্তার ছাত্র মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান এবং আজিজুল হাকিমের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, পুলিশ থানায় ফেলে এই ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। তবে এই তিনজনের ব্যাপারে পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে দাবি করছে, গ্রেপ্তার করার সময় ধস্তাধস্তির কারণে তাঁরা সামান্য আহত হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বাড্ডার মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ ছাত্র হলেন, রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান। আর ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্ররা হলেন, আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।

আরও সংবাদ
বিষয়:
আইন ও বিচার

আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় দলের আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী।

                                                             প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্বৃত্তদের হামলায় এক চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পিসহ চারজনের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহতদের প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।Eprothomalo

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য রুহুল হক, হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও সংবাদ
বিষয়:
শেখ হাসিনারাজনীতি

ময়মনসিংহে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জেএমবির মিজান ব্যাঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত কাওসার ওরফে বোমা মিজানকে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা—এনআইএ গ্রেপ্তার করেছে।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকা থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির এই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০৯ সালের ১৫ মে ঢাকার কাফরুলের তালতলা থেকে বোমা মিজানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাঁর মিরপুরের বাসা থেকে বোমা, বিস্ফোরকসহ স্ত্রী হালিমাকেও র‍্যাব গ্রেপ্তার করে। এরপর ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে ও পুলিশ হত্যা করে বোমা মিজানসহ জেএমবির তিন নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের কাছে খাগড়াগড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে জেএমবির দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। তারপরই প্রকাশ হয়ে পড়ে বাড়িটি ছিল জেএমবির ঘাঁটি। ওখানেই তৈরি হতো গ্রেনেড, বোমা। আর তা পাঠিয়ে দেওয়া হতো বাংলাদেশে।
এই বোমা মিজানকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের এনআইএ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছিল।Eprothomalo

এদিকে এনআইএ সূত্রে বলা হয়েছে, বোমা মিজানকে বেঙ্গালুরু থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে কলকাতায়। ৩ আগস্ট কেরালা থেকে এনআইএ গ্রেপ্তার করে আরও দুই জেএমবি জঙ্গিকে। এই দুজনের নাম ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে। নাম ছিল এনআইএ আদালতের চার্জশিটও। জেএমবির জঙ্গিরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন ওরফে শাহিন এবং আবদুল করিম ওরফে ছোটা। গত শুক্রবার কেরালার মল্লপুরম জেলার একটি শ্রমিক শিবির থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তুহিনকে। সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তারই আরেক সঙ্গী আবদুল করিম ওরফে ছোটাকে। ছোটার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। আর তুহিনের বাড়ি বীরভূমে। এরা সত্যি মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের কি না, এখন তা যাচাই করে দেখছেন এনআইএর গোয়েন্দারা। এই দুই জেএমবি জঙ্গি গত জানুয়ারিতে বুদ্ধ ধর্মগুরু দালাই লামার বুদ্ধ গয়া সফরের আগে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে এনআইএ জানিয়েছে। এর আগে গত ৮ জুলাই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরেক জঙ্গি সোহেল মেহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তার বিরুদ্ধেও খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ।
এবার তুহিনকে জেরা করে সন্ধান পায় বোমা বিমান ওরফে কাওসারের। তারপরই এনআইএর জালে ধরা পড়ে বোমা মিজান।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দুপুরে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের দ্বিতল ভবনে বিস্ফোরক দিয়ে অস্ত্র তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটলে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহত হয় তিনজন। সেদিন প্রাথমিক তদন্ত শেষে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ সিআইডি দাবি করে মৃত দুই জঙ্গি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। তারা এখানে আত্মগোপন করে অস্ত্র তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিল। এবং এখান থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাঠাত। সেদিন বিস্ফোরণে তিনজন জখম হলেও একজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তার নাম আবদুল হাকিম। তাকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিহত দুই বাংলাদেশি জঙ্গি হলো শাকিল আহমেদ ও সুবহান মণ্ডল। তাদের বাড়ি বাংলাদেশে বলে পুলিশ দাবি করেছিল। এই ঘটনায় নিহত শাকিল এবং আহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী যথাক্রমে রাজিয়া বিবি ও আলিমা বিবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়াও পুলিশ গ্রেপ্তার করে সেদিন হাসেম মোল্লা এবং আহত জঙ্গি আবদুল হাকিমকেও। সেদিন পুলিশ কাওসার ওরফে বোমা মিজানকে ধরতে পারেনি। বিস্ফোরণের পর বোমা মিজান এবং অন্যরা পালিয়ে যায় বর্ধমান থেকে।

আরও সংবাদ
বিষয়:
অপরাধ

চাইলেও মিলছে না ২০ আগস্টের টিকিট




রাজধানীর মাজার রোড পেরিয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালের দিকে যেতেই ডান পাশে পথের ধারে চোখে পড়ে ছোট একটি বটগাছ। এই বটগাছের ছায়ায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, মানুষের দীর্ঘ এক লাইন ফুটপাত থেকে একেবেঁকে চলে গেছে এসআর ট্রাভেলস নামের বাস কাউন্টারের ভেতরে। এই কাউন্টার থেকে কেউ কেউ বের হচ্ছেন হাসিমুখে; কেউবা টিকিটের জন্য এসে গোমড়া মুখ করে বের হচ্ছেন।

অনেকে আবার ভ্যাপসা গরমে ঘাম ঝরিয়ে কাউন্টারের ভেতর প্রবেশের অপেক্ষা করছেন। সবার প্রত্যাশা ঈদের টিকিট। তবে শুধু টিকিট হলেই চলবে না, বেশির ভাগ যাত্রীর চাই ২০ আগস্টের টিকিট। কারণ চাঁদ দেখা হিসাবমতে, ২২ আগস্ট হতে পারে কোরবানির ঈদ। এসআর ট্রাভেলসের কাউন্টারের ভেতরে গিয়ে পছন্দমতো টিকিট চাইতেই টিকিটপ্রত্যাশীদের উত্তর মিলছে, ‘২০ আগস্টের টিকিট নেই।’Eprothomalo

টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো খায়রুল ইসলাম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি ২০ আগস্টে রংপুর যাওয়ার টিকিট খুঁজছেন। খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটি হবে ২১ আগস্ট থেকে। তাই ২০ আগস্টের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ জন্য আজ সকালে প্রথমে গাবতলীর হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে জানানো হয়, ২০ তারিখের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এসআর ট্রাভেলসের সামনে বেলা ১১টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি।’

খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘২০ আগস্টের টিকিট না পেলে ১৬ আগস্ট বাড়ি যাব। ১৯ ও ২০ আগস্ট অফিস থেকে ছুটি নেব। তাহলে ২৩ আগস্ট ঈদের ছুটির পর ২৪ ও ২৫ আগস্ট শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে এ মাসের ২৬ তারিখ ঢাকায় ফিরব।’

২০ আগস্টের টিকিট আজ সকালে শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে এসআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক আমিন নবী প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের রংপুর, নওগাঁ, বগুড়া, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলায় আমাদের বাস সার্ভিস রয়েছে। এই সাত জেলার প্রায় সব যাত্রীই ২০ আগস্টের টিকিট চাইছেন। কিন্তু আমাদের সীমিতসংখ্যক টিকিট রয়েছে। শীতাতপ ও চেয়ারকোচ মিলিয়ে ৫৬টি বাস দিয়ে এই চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। পথে যানজট হলে তো অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই বাড়তি ট্রিপ দেওয়ারও সুযোগ নেই।’বেলা একটার দিকে একই দৃশ্য দেখা গেল হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে। সকাল সাতটা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও ভরদুপুরে কাউন্টারের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়। এখানে সবাই প্রথমে চাইছেন ২০ আগস্টের টিকিট। আরমান হোসেন নামের এক যুবক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগেই জানানো হয়েছে ১৬ থেকে ১৯ আগস্ট সকাল পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে। ঠিক করেছি ১৭ আগস্ট সকালে ঢাকা ছাড়ব।’

হানিফ পরিবহনের ব্যবস্থাপক (উত্তরাঞ্চল) মো. মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২০ আগস্ট চাহিদা থাকলেও কোরবানির ঈদে বাড়তি টিকিট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এ সময় মহাসড়কে যাত্রীবাহী হাজার হাজার বাস ছাড়াও কোরবানির পশু বহনকারী অসংখ্য ট্রাক ঢাকামুখী থাকবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন হানিফ পরিবহনের ২০০ বাস উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকায় চলাচল করে। ঈদের সময় এই সংখ্যাই ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। যানজটের কারণে ট্রিপের সংখ্যা কমেও যেতে পারে। তবে সড়কের পাশে পশুর হাট না বসলে, ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেনের কাজ ১৪ আগস্ট থেকে বন্ধ রাখা হলে, সাভার থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট না হলে এবং সিরাজগঞ্জ থেকে চান্দাইসোনার বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হলে মহাসড়ক সচল থাকবে।’

এ দিকে ঈদের টিকিটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী। প্রতিটি টিকিটে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা বছরের অন্যান্য সময় ছাড় দিয়ে বাসের টিকিট বিক্রি করে থাকি। কিন্তু ঈদের সময় টিকিটের মূল্যে ছাড় দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসের আসন পূর্ণ থাকলেও ফেরার সময় সেগুলো একেবারেই খালি থাকে। এর সঙ্গে বাসচালকসহ কর্মচারীদের ঈদ বোনাস দিতে হয়। এরপরও বিআরটিএর নির্ধারিত মূল্যে ঈদের টিকিট বিক্রি করছি।’

চাহিদা থাকলেও ঈদের টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান গাবতলীর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার সাইফুল আলম মুজাহিদ।

আরও সংবাদ
বিষয়:
রাজধানী

সাকিবদের ড্রেসিংরুমে ‘আমরা করব জয়’

অনেক দিন পর শোনা গেল ‘আমরা করব জয়’ গানটি। যেকোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের পরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুম মুখরিত হয়ে ওঠে এই গানের সুরে। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে ফ্লোরিডার লডারহিলের ড্রেসিংরুমে এই গান গেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উৎসবে মাতলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে পরিবেশিত হলো গানটি। ‘আমরা করব জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন, আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়, আমরা করব জয় একদিন’—যেকোনো জয়ের পরপরই ড্রেসিংরুমে অনুপ্রেরণামূলক এই গান দিয়ে উদ্‌যাপন করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু গত বছর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর এই গান যেন হারিয়েই যেতে বসেছিল। ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে আবারও সেই সুর, সেই সুরে গলা মিলিয়ে চলল আনন্দ উদ্‌যাপন।Eprothomalo

টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সাব্বির রহমান। যদিও উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজনির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। কিন্তু উদ্‌যাপনে যোগ দিতে তো আর বাধা নেই। দুর্দান্ত জয়ের পর তাই দলের সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই গাইলেন—‘আমরা করব জয়...’। সেখানে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির, আবু হায়দার, আরিফুল হক, রুবেল হোসেনরা তো ছিলেনই, যোগ দিলেন স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশী এমনকি হেড কোচ স্টিভ রোডসও।

ভক্তের সঙ্গে সাকিবের আসলে কী হয়েছিল

সমর্থকদের দিকে সাকিবের তেড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যিনি লডারহিলে জেতার পর ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়েছেন, মাঠের চারদিকে ঘুরে দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন; তাঁর সঙ্গে কী এমন হয়েছিল, যে এভাবে চটে গেলেন?
ম্যাচ শেষ হোটেলে ফিরছিলেন সাকিব আল হাসান। লবিতে সমর্থকদের ভিড়। এক সমর্থকের সঙ্গে হঠাৎ তর্ক লেগে গেল। একপর্যায়ে সমর্থকের দিকে তেড়ে গেলেন, আপত্তিকর ভঙ্গি। এখানেই শেষ নয়। চলে যেতে গিয়েও আবার ফিরলেন। ভীষণ উত্তেজিত সাকিব আরেকবার তেড়ে গেলেন। পরে পরিস্থিতি সামলালেন তামিম ইকবালসহ কয়েক সতীর্থ। সমর্থকদের দিকে সাকিবের এই তেড়ে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চলছে নানা গুঞ্জন।Eprothomalo

সাকিব লডারহিলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়েছেন, মাঠের চারদিকে ঘুরে দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন; তাঁর সঙ্গে কী এমন হয়েছিল, যে এভাবে চটে গেলেন? দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা ঘটেছে কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের পর। মাঠ থেকে খেলোয়াড়েরা ফিরছিলেন টিম হোটেলে। লবিতে তখন জড়ো হয়েছেন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ সমর্থক। বেশির ভাগই বাংলাদেশি প্রবাসী। ক্রিকেটারদের নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় মাতামাতি। সেলফি তোলার হিড়িক। আর সই নেওয়ার মিছিল।

এর মধ্যে এক সমর্থক সাকিবের সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছেন। অটোগ্রাফ চেয়েছেন, ভিডিও করতে চেয়েছেন। সাকিব সেলফি অথবা অটোগ্রাফ এই দুইয়ের একটি আবদার মিটিয়েছেন বলে দলের সেই সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে। সূত্রটি জানিয়েছে, ভক্তের চাওয়া ছিল আরও বেশি। ৪৬ দিনের দীর্ঘ সফর শেষে খেলোয়াড়েরা সবাই ভীষণ ক্লান্ত ছিলেন। সাধারণত সব সফরের শেষে এসে সবাইকে এমন ক্লান্তি পেয়ে বসে। সাকিব পারবেন না বলে সোজা হাঁটা দেন। এ সময়ই ওই সমর্থক অশালীন মন্তব্য করে বসেন। যার মূল বক্তব্য ছিল, সাকিব ভাব নিচ্ছেন। এতেই ভীষণ চটে যান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

ওই সূত্রের বক্তব্য প্রথম আলো প্রত্যক্ষদর্শী আরও দুজনের কাছ থেকে শুনে নিশ্চিত করেছে। ঘটনা এটিই ছিল। সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফ্লোরিডা থেকে তিনিও প্রথম আলোকে এমনটাই জানান।

Monday, August 6, 2018

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আটক হয়নি: পুলিশ



প্রথম আলাে ফাইল ছবিপ্রথম আলাে ফাইল ছবিস্কুল কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আটক বা গ্রেপ্তারের যে খবর ছড়িয়েছে তা ঠিক নয়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রোববার এবং তার আগের দিন শনিবার ধানমন্ডি এলাকায় সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পুলিশ রাস্তা থেকে আটক করে নিরাপদ হেফাজতে রাখে। পরে তাদের বাবা-মাকে ডেকে তাদের অভিভাবকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

আন্দোলনে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা পূর্ণবয়স্ক কতজনকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জানতে চাইলে পুলিশর উপকমিশনার বলেন, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য তার কাছে নেই।Eprothomalo

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘আজ শাহবাগ এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যেও কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হতে পারেন। অফিসাররা থানায় না ফিরলে প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে না। বেশির ভাগ কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন।’
আরও সংবাদ
বিষয়:
আইন ও বিচার

Featured Post

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার ২২ ছাত্র দুই দিনের রিমান্ডে

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ...