Friday, November 23, 2018

Brexit: DUP may revisit confidence and supply deal, says Foster

The DUP would have to revisit its confidence and supply deal with the Tories if Theresa May's Brexit deal passes through parliament, Arlene Foster has said.

The DUP leader said her agreement with the Conservatives had been intended to provide the UK with national stability and to deliver on Brexit.

She was speaking on Radio Ulster's Inside Politics programme.

The DUP is holding its annual conference this weekend.

    Brexit deal: NI business and farming community reacts to proposals
    Reality Check: Brexit withdrawal agreement - what it all means

"If this is not going to deliver on Brexit then of course that brings us to the situation of looking again at the confidence and supply deal.

"But we are not there yet," she said.

The DUP leader insisted the government should "ditch the Irish backstop" and recognise that, in practice, nobody will implement a hard border on the island of Ireland.

She argued that the prospect of such a hard border has taken on a "mythical status" in the Brexit negotiations.

Mrs Foster argued that the EU Withdrawal Agreement as it stands will not get the support of parliament.

source:  https://www.selfgrowth.com/

India's Andaman and Nicobar islands.

Fishermen who took the man to North Sentinel island say tribespeople shot him with arrows and left his body on the beach.
He has been identified as John Allen Chau, a 27 year old from Alabama.
Contact with the endangered Andaman tribes living in isolation from the world is illegal because of the risks to them from outside disease.
Estimates say the Sentinelese, who are totally cut off from civilisation, number only between 50 and 150

Wednesday, November 21, 2018

American 'killed in India by endangered Andamans tribe'

An American man has been killed by an endangered tribe in India's Andaman and Nicobar islands.
Fishermen who took the man to North Sentinel island say tribespeople shot him with arrows and left his body on the beach.
He has been identified as John Allen Chau, a 27 year old from Alabama.
Contact with the endangered Andaman tribes living in isolation from the world is illegal because of the risks to them from outside disease.
Estimates say the Sentinelese, who are totally cut off from civilisation, number only between 50 and 150.

Wednesday, August 8, 2018

বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা বনাম ‌‘অবুঝ’ ভক্ত

সেলফি-অটোগ্রাফের আবদার ক্রিকেট তারকাদের সময়ে-অসময়ে মেটাতে হয়। কিন্তু এমন অনেক সময় বা পরিস্থিতি থাকে, যখন তারকাদের পক্ষে ভক্তের আবদার মেটানো সম্ভব হয় না। আর তখনই হয় ভুল বোঝাবুঝি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে সাকিবের সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।
ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজনির্ধারণী ম্যাচ শেষে টিম হোটেলের লবিতে এক ভক্তের দিকে সাকিব আল হাসানের তেড়ে যাওয়ার ভিডিও নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জোর আলোচনা। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভক্তদের এমন অনভিপ্রেত ঘটনা নতুন নয়; সাকিবের সঙ্গে তো নয়ই। এসব ঘটনায় ক্রিকেটাররা বেশি সমালোচিত হন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমর্থকেরা খেলোয়াড়দের এমন জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে দাঁড়িয়ে মাথা গরম করতে বাধ্য হন তাঁরা।Eprothomalo

২০১৩ সালে সিলেটে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলার সময় এক দর্শকের শার্টের কলার চেপে ধরার ঘটনা নিয়ে সাকিবকে বেশ বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল। এ ঘটনা ঘটেছিল প্রাইম ব্যাংকের ড্রেসিংরুমের সামনের গ্যালারিতে। প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের খেলা শুরুর আগে অনুশীলন থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে এক দর্শক সাকিবের কাছে অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন। ওই সময়ে অটোগ্রাফ দিতে না চাইলে সাকিবকে উদ্দেশ করে ওই দর্শক কটূক্তি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাকিব গ্যালারিতে গিয়ে দর্শকের কলার চেপে ধরেন। পরে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ ওই দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দেয়।

২০১৪ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চলার সময় স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় এক বখাটে দর্শকের সঙ্গে লেগে যায় সাকিবের। স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করলে স্বামী নিশ্চয়ই বসে থাকতে পারেন না। সাকিবও থাকেননি। কিন্তু তার দোষটা ছিল, স্ত্রীর উত্ত্যক্তকারীর ওপর তিনি চড়াও হয়েছিলেন ম্যাচ চলাকালে, ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে। পরে এটির জন্য বিসিবির শাস্তিও পেতে হয় তাঁকে।

তামিম ইকবালের সঙ্গেও ভক্তের বিতর্কিত ঘটনা আছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের নেটে ব্যাটিং করছিলেন বাঁহাতি ওপেনারের। এ সময় পেছন থেকে এক দর্শকের মন্তব্য, ‘ম্যাচের সময় তো এই বাড়ি লাগে না!’ বিরক্ত তামিম শুরুতে বাজে ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়েও থেমে যান। পরে সুন্দরভাবে তাদের বুঝিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কোনো কাজ নেই? আমি একটু অনুশীলন করছি, ভালো করার চেষ্টা করছি। আর আপনারা এখানে এসে ফালতু কথা বলছেন। নিজেদের কাজ করেন।... আপনি যদি ভালো পারেন, আসেন এখানে, ব্যাটিং করেন।’ পরে দর্শকেরা ‌‘সরি’ বলে কেটে পড়েন। এখন অবশ্য সমালোচক কিংবা মুগ্ধ দৃষ্টিতে মিরপুরে তামিমদের অনুশীলন দেখার সুযোগ নেই। খেলোয়াড়দের নির্বিঘ্নে অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে মাঠের চারদিক কংক্রিটের দেয়ালে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

সেলফি-অটোগ্রাফের আবদার তারকাদের সময়ে-অসময়ে মেটাতে হয়। সাকিব এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, ‘বেশির ভাগ সময়ে সেলফি তুলতে বিরক্ত লাগে না। তবে দু-একটা পরিস্থিতি আছে যখন মনে হয় , এখন নয়।’ এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে সাকিবকে কীভাবে ভক্তের আবদার মেটাতে হয়েছিল, একবার সে গল্প শুনিয়েছিলেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে স্ত্রীর প্রসববেদনার খবর শুনেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রেখে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। দুবাইয়ে ট্রানজিটে থাকার সময়ই সন্তান জন্মের আনন্দ সংবাদ পান। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্কাইপেতে যখন স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখে আবেগে তাঁর চোখ ছলছল, তখন এক ভক্ত আবদার করছেন সেলফি তোলার! সাকিবের প্রশ্ন, ‘ওই মুহূর্তে কেন? আমার পরিস্থিতি কি বুঝবে না?’

মাশরাফি বিন মুর্তজার এই ঘটনাটা সামনে থেকেই দেখা। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তিন-চার দিনের ছুটিতে নড়াইলে রওনা দেবেন। তাড়াহুড়ো করে সন্ধ্যায় মিরপুরের বাসা থেকে রওনা দিলেন বিমানবন্দরে। তীব্র যানজটে পড়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য ধরতে পারলেন না যশোরের ফ্লাইট। মাশরাফির মেজাজ যখন চরমে, ফ্লাইট হাতছাড়ার হওয়ার হতাশা যখন চোখে–মুখে, ঠিক তখনই এক ভক্ত এলেন সেলফি তুলতে। ভক্তকে যত বোঝানো যায়, তিনি ততই নাছোড়! মাশরাফি একটা পর্যায়ে ভীষণ বিরক্ত, অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালেন। তবে হতাশা লুকাতে পারেননি অনেক ভক্ত পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারেন না বলে।

এসব পরিস্থিতিতে তারকা যদি মেজাজ হারিয়ে বসেন, তাহলে তাঁদের কি খুব বেশি দোষ দেওয়া যায়! তারপরও তারকাখ্যাতির ‘দায়িত্ববোধ’ বলে একটা কথা আছে, সেটি ভুলে গেলে কিন্তু চলে না।

আরও সংবাদ

Tuesday, August 7, 2018

ড. কামালকে কাদের, গুন্ডাতন্ত্র কাকে বলে?


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে যখন শান্তিময় রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছিল, ঠিক সে সময় ১/১১-এর কুশীলবেরা আবার রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অসম্ভব খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেছেন, ‘সবিনয়ে ড. কামাল হোসেনের কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই, গুন্ডাতন্ত্র কাকে বলে?’
ধানমন্ডিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মীর চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। সেই আহত কর্মীকে আপনারা হাইজ্যাক (ছিনতাই) করলেন ঘৃণ্য রাজনৈতিক উদ্দেশে। সেই কর্মীর চোখের অবস্থা খারাপ। আহত কর্মীর চোখের চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।Eprothomalo

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের তিনটি শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখনো তারা ভালোভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। যারা আহত হয়েছে, তারা বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রনেতা। যারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উপকমিটিতে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৬ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, আহত হলাম আমরা। আক্রান্ত হলাম আমরা। এখন দেশে, বিদেশে সুপরিকল্পিতভাবে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের আক্রমণকারী হিসেবে নিন্দিত করে আমাদের দলের, ছাত্র সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগের বিষয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আমি বলেছি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার তালিকা দিন। ঘটনায় ছাত্রলীগের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আমরা সাংগঠনিক ও আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। বিচারের মুখোমুখি হতে আওয়ামী লীগের কোনো দ্বিধা নেই। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কেউ রেহাই পায়নি, পাবেও না।’

বিএনপির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কানাডার আদালতে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে দেশি-বিদেশি যে কুখ্যাতি বিএনপি অর্জন করেছিল, সেই কলঙ্ক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই ঘৃণ্য ও জঘন্য অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এসব সময়ে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, তারা সাংবাদিকদের টার্গেট করেন। সাংবাদিকদের টার্গেট করে ফায়দা লোটার চেষ্টা এ দেশে আরও অনেক আগে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এটা হয়। এ দেশেও আরও অনেকবার হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে মতান্তর থাকবে। কিন্তু সেই মতান্তর এখন মনান্তরের সীমা অতিক্রম করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের ভবিষ্যতের জন্য এটি দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতার জন্য দেশ ধ্বংস করে যারা রাজনীতি করে, তাদের সঙ্গে কী করে একটি ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং হবে?

সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি যেকোনো কারণে হোক আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে এখন একটু দূরে। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

আরও সংবাদ
বিষয়:
রাজনীতিওবায়দুল কাদের
  

একনেকে পাস প্রিপেমেন্ট মিটার পাবেন ২ লাখ গ্রাহক

রাজধানীর ডেসকো এলাকায় স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার বসবে। ২০২০ সালের মধ্যে রাজধানীর দুই লাখ গ্রাহক এই ধরনের মিটার পাবেন। এতে বিদ্যুতের অপব্যবহার (সিস্টেম লস) কমাবে। এ জন্য ১৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ডেসকো এলাকায় স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন প্রকল্প পাস হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বিদ্যুৎ বিভাগের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। যেসব এলাকায় প্রিপেমেন্ট মিটার বসবে সেগুলো হলো—মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, কাফরুল, শাহ আলী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখান ও দক্ষিণখান এবং গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানা। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ হাজার সিঙ্গেল ফেজ ও ২০ হাজার থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার দেওয়া হবে।Eprothomalo

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রিপেমেন্ট মিটার বসলে সিস্টেম লস কমে যাবে। মিটারের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসে মাসে টাকা কিস্তিতে কেটে রাখা হবে।

আজকের একনেক সভায় প্রকল্পটিসহ মোট ১১টি প্রকল্প পাস হয়। এতে মোট খরচ হবে ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৮ কোটি টাকা।

একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নিমিত্তে ভূমি অধিগ্রহণ (নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও চট্টগ্রামের মিরসরাই) ; ১১৭ কোটি টাকার বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টারে ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১ টি ফ্যাশন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন; ১৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এম ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন; ২৯৭ কোটি টাকার সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমণি নিবাস নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ; ২৯০ কোটি টাকার সিলেটের হাইটেক পার্কের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ; ২৯২ কোটি টাকার ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং; ১৬৯ কোটি টাকার সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন; ১৪৪ কোটি টাকার বীরগঞ্জ-খানসামা-দাড়োয়ানী, খানসামা-রানীরবন্দর এবং চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার জেলা মহাসড়কে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা; ৯৯ কোটি টাকার কুলাউড়া-পৃথ্বিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ ও সাড়ে সাত কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং ১ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকার ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।

আরও সংবাদ
বিষয়:
অর্থনীতি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার ২২ ছাত্র দুই দিনের রিমান্ডে

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার আসামিরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাকের ছাত্র। এর মধ্যে বাড্ডা থানা-পুলিশ ১৪ জন ছাত্রকে এবং ভাটারা থানা-পুলিশ ৮ জন ছাত্রকে আদালতে হাজির করে প্রত্যকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

বেলা ৩টার দিকে আদালতের এজলাসে তোলা হলে স্বজনদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্ররা। তাঁদের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় ফেলে নির্যাতন করেছে। ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে কয়েজনকে গ্রেপ্তার করেছে।Eprothomalo

তবে বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া রিমান্ড আবেদনে বলেন, গতকাল (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাব নগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেয়। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আসামিরা। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, আসামিরা বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাঁরা বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরাতে গেলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদ রিমান্ড আবেদনে বলেন, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। আসামিরা বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসার দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। পলাতক আসামিরা জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক আদালতকে বলেন, পুলিশ নিরপরাধ ছাত্রছাত্রীদের ধরে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিদওয়ান আহমেদের আইনজীবী কবির হোসেন আদালতকে বলেন, ‘পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় ফেলে মেরে তাঁর হাতের একটি আঙুল ভেঙে দিয়েছে। তৃতীয় পক্ষের যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করে নিরীহ ছাত্রদের ধরে এনেছে।’

এ ছাড়া আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার করা ছাত্রদের পরীক্ষা চলছে। ৯ আগস্ট তাঁদের পরীক্ষা আছে। জামিন না পেলে তাঁদের শিক্ষা জীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গ্রেপ্তার ছাত্র মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান এবং আজিজুল হাকিমের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, পুলিশ থানায় ফেলে এই ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। তবে এই তিনজনের ব্যাপারে পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে দাবি করছে, গ্রেপ্তার করার সময় ধস্তাধস্তির কারণে তাঁরা সামান্য আহত হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বাড্ডার মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ ছাত্র হলেন, রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান। আর ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্ররা হলেন, আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।

আরও সংবাদ
বিষয়:
আইন ও বিচার

Featured Post

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার ২২ ছাত্র দুই দিনের রিমান্ডে

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ...