Tuesday, August 7, 2018

সাকিবদের ড্রেসিংরুমে ‘আমরা করব জয়’

অনেক দিন পর শোনা গেল ‘আমরা করব জয়’ গানটি। যেকোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের পরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুম মুখরিত হয়ে ওঠে এই গানের সুরে। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে ফ্লোরিডার লডারহিলের ড্রেসিংরুমে এই গান গেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উৎসবে মাতলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে পরিবেশিত হলো গানটি। ‘আমরা করব জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন, আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়, আমরা করব জয় একদিন’—যেকোনো জয়ের পরপরই ড্রেসিংরুমে অনুপ্রেরণামূলক এই গান দিয়ে উদ্‌যাপন করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু গত বছর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর এই গান যেন হারিয়েই যেতে বসেছিল। ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে আবারও সেই সুর, সেই সুরে গলা মিলিয়ে চলল আনন্দ উদ্‌যাপন।Eprothomalo

টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সাব্বির রহমান। যদিও উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজনির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। কিন্তু উদ্‌যাপনে যোগ দিতে তো আর বাধা নেই। দুর্দান্ত জয়ের পর তাই দলের সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই গাইলেন—‘আমরা করব জয়...’। সেখানে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির, আবু হায়দার, আরিফুল হক, রুবেল হোসেনরা তো ছিলেনই, যোগ দিলেন স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশী এমনকি হেড কোচ স্টিভ রোডসও।

ভক্তের সঙ্গে সাকিবের আসলে কী হয়েছিল

সমর্থকদের দিকে সাকিবের তেড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যিনি লডারহিলে জেতার পর ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়েছেন, মাঠের চারদিকে ঘুরে দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন; তাঁর সঙ্গে কী এমন হয়েছিল, যে এভাবে চটে গেলেন?
ম্যাচ শেষ হোটেলে ফিরছিলেন সাকিব আল হাসান। লবিতে সমর্থকদের ভিড়। এক সমর্থকের সঙ্গে হঠাৎ তর্ক লেগে গেল। একপর্যায়ে সমর্থকের দিকে তেড়ে গেলেন, আপত্তিকর ভঙ্গি। এখানেই শেষ নয়। চলে যেতে গিয়েও আবার ফিরলেন। ভীষণ উত্তেজিত সাকিব আরেকবার তেড়ে গেলেন। পরে পরিস্থিতি সামলালেন তামিম ইকবালসহ কয়েক সতীর্থ। সমর্থকদের দিকে সাকিবের এই তেড়ে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চলছে নানা গুঞ্জন।Eprothomalo

সাকিব লডারহিলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়েছেন, মাঠের চারদিকে ঘুরে দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন; তাঁর সঙ্গে কী এমন হয়েছিল, যে এভাবে চটে গেলেন? দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা ঘটেছে কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের পর। মাঠ থেকে খেলোয়াড়েরা ফিরছিলেন টিম হোটেলে। লবিতে তখন জড়ো হয়েছেন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ সমর্থক। বেশির ভাগই বাংলাদেশি প্রবাসী। ক্রিকেটারদের নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় মাতামাতি। সেলফি তোলার হিড়িক। আর সই নেওয়ার মিছিল।

এর মধ্যে এক সমর্থক সাকিবের সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছেন। অটোগ্রাফ চেয়েছেন, ভিডিও করতে চেয়েছেন। সাকিব সেলফি অথবা অটোগ্রাফ এই দুইয়ের একটি আবদার মিটিয়েছেন বলে দলের সেই সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে। সূত্রটি জানিয়েছে, ভক্তের চাওয়া ছিল আরও বেশি। ৪৬ দিনের দীর্ঘ সফর শেষে খেলোয়াড়েরা সবাই ভীষণ ক্লান্ত ছিলেন। সাধারণত সব সফরের শেষে এসে সবাইকে এমন ক্লান্তি পেয়ে বসে। সাকিব পারবেন না বলে সোজা হাঁটা দেন। এ সময়ই ওই সমর্থক অশালীন মন্তব্য করে বসেন। যার মূল বক্তব্য ছিল, সাকিব ভাব নিচ্ছেন। এতেই ভীষণ চটে যান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

ওই সূত্রের বক্তব্য প্রথম আলো প্রত্যক্ষদর্শী আরও দুজনের কাছ থেকে শুনে নিশ্চিত করেছে। ঘটনা এটিই ছিল। সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফ্লোরিডা থেকে তিনিও প্রথম আলোকে এমনটাই জানান।

Monday, August 6, 2018

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আটক হয়নি: পুলিশ



প্রথম আলাে ফাইল ছবিপ্রথম আলাে ফাইল ছবিস্কুল কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আটক বা গ্রেপ্তারের যে খবর ছড়িয়েছে তা ঠিক নয়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রোববার এবং তার আগের দিন শনিবার ধানমন্ডি এলাকায় সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পুলিশ রাস্তা থেকে আটক করে নিরাপদ হেফাজতে রাখে। পরে তাদের বাবা-মাকে ডেকে তাদের অভিভাবকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

আন্দোলনে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা পূর্ণবয়স্ক কতজনকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জানতে চাইলে পুলিশর উপকমিশনার বলেন, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য তার কাছে নেই।Eprothomalo

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘আজ শাহবাগ এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যেও কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হতে পারেন। অফিসাররা থানায় না ফিরলে প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে না। বেশির ভাগ কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন।’
আরও সংবাদ
বিষয়:
আইন ও বিচার

শহিদুল আলমকে অপহরণ করা হয়: রেহনুমা আহমেদ

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বাসা থেকে গতকাল রোববার রাতে অপহরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।
রেহনুমা অভিযোগ করেন, গতকাল ধানমন্ডির ৯/এ সড়কের বাসার চারতলা থেকে শহিদুলকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা) পরিচয় দেওয়া একদল লোক। একটু আগে তিনি সংবাদমাধ্যমে জেনেছেন, শহিদুলকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল সারা রাত ডিবি অফিসে বসে থেকেও শহিদুলের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাননি তিনি। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোন করে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রেহনুমা লিখিত বিবৃতিতে বলেন, শহিদুলকে ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে তারা হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। তিনটি গাড়িতে তারা এসেছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন নিয়ে নিয়েছিল। কাউকে কথা বলতে দেয়নি।

Featured Post

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার ২২ ছাত্র দুই দিনের রিমান্ডে

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ...